সরিষাবাড়ী পৌর এলাকাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ২শত ২২টি গ্রামের কয়েক হাজার গাজা সেবীর মাঝে অন্ততঃ শতাধিক গাজাসেবী গাজা খেতে না পেরে পাগলের মত ছুটাছুটি করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গাজাসেবী জানান, পুলিশের অত্যাচারে অনেকেই গাজা ব্যবসা চেড়ে দেয়ায় এখন আর সহজে গাজা পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই এখন ২০ টাকার পুরিয়া ৫০ টাকা বা তার চেয়েও বেশী দরে কিনতে হচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার দুই থেকে আড়াইশত পয়েন্টে গাজা পাওয়া যেত। এখন পাওয়া যায় মাত্র ৫০/৬০ টি পয়েন্টে। আর এ পয়েন্ট বলতে বুঝায় গাজা ব্যবসায়ীদের বাড়ী বা কোন একটি ছো্টি দোকান।

তারা আরো জানায়, গাজা ব্যবসার পয়েন্ট বন্ধ হওয়ায় পুলিশের চাদাঁবাজিও কমে গেছে। আগে থানা থেকে কোন এক পুলিশ কনষ্টেবল মাসে মাসে সে সব পয়েন্ট থেকে মাসোয়ারা তুলতো। এখনো তুলে তবে সেটা আগের তুলনায় নগন্য।

গত ২মাস আগে জামালপুরের জেলা প্রশাসক জামালপুরকে মাদকমুক্ত ঘোষনা করেন। ঘোষনা দিলেও পর্দার আড়ালে প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে কতিপয় গাজা ব্যবসায়ীরা সে ব্যবসা চালিয়েও যাচ্ছে। কম বিক্রি হলেও লাভ বেশী।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরিষাবাড়ীতে কোন গাজা বা মাদক ব্যবসায়ী আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি কেউ করেও থাকে তবে খোঁজ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও আছে।