আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতি জেলার আওয়ামী লীগের দুই জন প্রবীণ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিটি জেলা থেকে আওয়ামী লীগের দুইজন করে প্রবীণ নেতার নাম পাঠাতে বলা হয়েছে; প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে দলের পক্ষ থেকে।

৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, ঢাকায় তিন দিনব্যাপী আর সারাদেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি চলবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শু রু হবে এই কর্মসূচি।এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। ২৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং ২৫ জুন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

কাদের জানান, প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। ২৩ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও র‌্যালি, আলোচনা সভা, প্রচার, পুস্তিকা প্রকাশ করা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন- এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মাতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রমুখ।