পাসপোর্ট ব্যাগে আছে বলে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানিয়েছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। এরপর জেনারেল ডিক্লারেশন (জিডি) দেখে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান তাকে যেতে দেন। ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদের কাছে আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পাসপোর্ট চেয়েছিলেন। এর জবাবে পাইলট বলেছিলেন, পাসপোর্ট তার ব্যাগে। যেহেতু পাইলট সবসময় যাওয়া-আসা করেন, তিনি সিনিয়র পাইলট, তাই তার কথায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বিশ্বাস করেছিল।

ইসমাইল হোসেন বলেন, বিমানের জেনারেল ডিক্লারেশন (জিডি) দেখেই ইমিগ্রেশন করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়। এখানে দুজনেরই সমান দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সদর দফতরে রিপোর্ট দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট না থাকায় বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমান বাংলাদেশের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যান ক্যাপ্টেন ফজল। পরবর্তীতে তার পাসপোর্ট পাঠানো হয়। এ ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পৃথক কমিটি গঠন করেছে।সাধারণত পাইলটরা বিমান নিয়ে বিশ্বের নানা বিমানবন্দরে গেলেও অনেক সময় সেসব দেশের ভেতরে তাদের প্রবেশ করতে হয় না। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুসারে, পাইলটরা জেনারেল ডিক্লারেশনের কপি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করেন। জেনারেল ডিক্লারেশনের (জিডি) কপি ছাড়াও পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয় পাইলটদের। কারণ নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পাসপোর্ট জরুরি।