যৌতুকের দাবী পূরনে ব্যর্থ হয়ে পাবনার আতাইকুলা থানার রাজাইমন্ডল গ্রামে স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের মারপিটে নিহত গৃহবধু মাহমুদা আক্তার মিম (৩০)‘র হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবীতে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার দুপুরে আব্দুল হামিদ সড়কে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে বক্ত্য দেন আতাইকুলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ আতিয়ার হোসেন, ব্র্যাক সিইপি‘র সিনিয়র জেলা ব্যবস্থাপক লুইস গমেজ, যৌন হয়রানী নির্মূল করণ নেটওয়ার্কের আহবায়ক সেলিম নাজির উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার রোজি, নেটওয়ার্ক সদর্স্য সদস্য প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, মহিলা পরিষদের সাধারন সম্পাদক এড. কামরুননাহার জলি, আলহাজ্জ আব্দুল বাতেন খান, নিহতের ছেলে মোঃ মাহিম প্রমুখ। মানববন্ধন সমাবেশে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের আশিক, ব্র্যাক সিইপি পরিচালিত মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন)‘র সেক্টর স্পেশালিষ্ট হাসিনা আখতার, সাংবাদিক, আইনজীবি, শিক্ষক, গৃহবধু, ছাত্র-ছাত্রীসহ নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানব্বন্ধন শেষে নিহত গৃহবধুর বাবা আব্দুল মোমিন, যৌন হয়রানী নির্মূল করণ নেটওয়ার্কের আহবায়ক হাসিনা আক্তার রোজি, মেজনিনের সেক্টর স্পেশালিষ্ট হাসিনা আখতার ও তার স্বজনরা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর নিকট আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ২১ মে সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার রাজাইমন্ডল গ্রামের পিন্টু মিয়া (গৃহবধুর স্বামী ) ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেদম মারপিটে গুরুত্বর ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধু মাহমুদা আখতার মীম। দীর্ঘ ১৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মিমের ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে পিন্টু মিয়াকে প্রধান আসামীসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। ঘাতক পিন্টু মিয়া ওই গ্রামের সগির প্রামনিকের ছেলে এবং নিহত গৃহবধু আতাইকুলা ইউনিয়নের দড়িসারদিয়ার গ্রামের আব্দুল মমিনের মেয়ে।