গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় পৃথক দুটি ধারায় একটিতে যাবজ্জীবন, অন্যটিতে ১৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ সময় কাদের খানের উপস্থিতিতে আদালত ১১ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণা করেন।

এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় তিনটি অস্ত্র ব্যবহার হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র কাদের খান নিজে থানায় জমা দেন। দ্বিতীয় অস্ত্রটি আব্দুল কাদের খানের গ্রামের বাড়ি ছাপরহাটি থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তৃতীয় অস্ত্রটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি কাদের খানকে বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার হন। পরে কাদের খানের দেওয়া তথ্যে তার বাড়ির উঠানে মাটির নিচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তুল উদ্ধার করে পুলিশ।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে গুলিতে নিহত হন সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি নিহতের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলি বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।এছাড়া হত্যার কাজে ব্যবহৃত গুলিভর্তি পিস্তুত উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় সুন্দরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করে পুলিশ। হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কাদের খানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।