আগামী অর্থবছরে (২০১৯-২০) ৮ দশমিক ২০ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায় সরকার। এদিকে চলতি অর্থবছর ৭.৮০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যের বিপরীতে প্রাথমিক হিসাবে অর্জন হয়েছে ৮.১৩ শতাংশ। গত দুই বছর ধরেই লক্ষ্যের চাইতে জিডিপিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী অর্থবছরে এ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সফলতাকে বাজেট বক্তৃতায় বড় করে তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি বছর ৭.৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৮.১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প সূচক প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। ভর্তুকি, কৃষি উপকরণ সরবরাহ ও অন্যান্য সহায়ক কার্যক্রমে আমন ও বোরোর উৎপাদন বেড়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আগামী অর্থবছরও প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শেষ দিকে এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের আগে ৬ শতাংশের প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আলোকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করে। ওই বছরেই প্রথম প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ৬ শতাংশ থেকে ৭.১১ শতাংশে উন্নীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরই প্রবৃদ্ধির হার বেড়েই চলেছে।

টানা তিন বছর ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। এর মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭.২৮ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছিল ৭.৮ শতাংশ। নয় মাসের হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুারো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে পূর্বাভাস দিয়েছে অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাড়াবে ৮.১৩ শতাংশ। যদিও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে প্রবৃদ্ধির হার এতো বেশি হবে না। এই হার ৭ শতাংশের ঘরেই থাকবে। একই সুরে কথা বলেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তাদেরও মত প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের ঘরেই থাকবে।