ফেনীর পরশুরাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শুভ বৈদ্য হত্যা মামলার ৪ বছর পর রায় ঘোষণা হয়েছে। সোমবার বিকেলে বহুল আলোচিত এ মামলায় ৪ আসামীর সবাইকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ফেনী জেলা দায়রা জজ সাঈদ আহ্ম্মেদ। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পূর্ব অলকা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম (১৯), মো. মোস্তফার ছেলে ওমর ফারুক (২২), বেলাল উদ্দিন ভূঞার ছেলে নুর আলম ছমির ভূঞা (২০), স্বপন ভূঞা (২২)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহম্মদ জানান, ২০১৫ সালের ২৯ জুন পরশুরাম পৌর শহরের পশ্চিম অনন্তপুর গ্রামের বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে দুইদিন পর পূর্ব অলকা গ্রামের রমেশ বৈদ্যের পুকুর পাড়ে গাছের সাথে বেঁধে শুভকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা সাধন বৈদ্য বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহমত উল্যাহ খান দীর্ঘ তদন্তের পর ৪ আসামী অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন। ওই বছরের ৪ জুলাই শনিবার রাতে সন্দেহভাজন আটককৃত চারজনের মধ্যে দুইজন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের মধ্যে আবদুর রহিম (১৯) ও ওমর ফারুক ভূঞা (২২), সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পরশুরাম) মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। আবদুর রহিম, ওমর ফারুক ও স্বপন ভূঁইয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি ও নুর আলম ভূঁইয়া সমির পাওয়ার ট্রলিচালক। এই মামলায় ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে সকল কিছু রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। চার্জশীটভুক্ত ৪ আসামীর সবাই কারাগারেও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৯ জুন সন্ধ্যার পর শুভ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা পরশুরাম মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই দিন রাতে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে সমিরের নির্দেশনা মোতাবেক বাঁশঝাড় থেকে শুভর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।