রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কেনাকাটায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাব প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই ঘটনায় যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার কিছু পরিচয় আমরা পেয়েছি। তিনি এক সময় বুয়েটে ছাত্রদলের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।

প্রকল্পের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। কেনাকাটায় একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় হওয়ায় তা সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে পরিচয় পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই তথ্য পেয়েছি, সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যে দলেরই হোক, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্রের মুখে সায়েম সাহেবকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতায় এসেছিল জিয়া। ক্ষমতা দখল করার পর তাদের হাতে যে দল গড়ে উঠে তাদের চরিত্রটা জানা উচিৎ। তাদের উৎসটাই হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতিগ্রস্ততার মধ্য থেকে উঠে আসা। তিনি বলেন, বালিশতত্ত্ব নিয়ে আমারও একটা প্রশ্ন আছে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র সেখানে গড়ে উঠছে। সেখানে আর কিছু না পেয়ে পেল বালিশ। এটা কোন বালিশ? কী বালিশ? সেটাও একটা প্রশ্ন। এটা কি তুলার বালিশ? কোন তুলা? কার্পাস তুলা না শিমুল তুলা; নাকি সিনথেটিক তুলা? নাকি জুটের তুলা?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বালিশ নিয়ে অনেককে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখলাম। এত মানুষ, এত বালিশ একদিনে কিনে ফেলল কীভাবে? এই বালিশ কেনার টাকার জোগানদারটা কে? সেটা আর বলতে চাই না।