আগামী ২২ জুন প্রায় ৪ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। গত জানুয়ারিতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলেও মানহীন ওষুধের কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। তবে, এবার মানসম্মত ভিটামিন এ ক্যাপসুল আমদানির মাধ্যমে তা শিশুদের খাওয়ানো হবে।মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগরভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: শরীফ আহমেদ।

ডিএসসিসি এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৯৫৫ জন শিশুকে ১ টি ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ জন শিশুকে ২ টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামী ২২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৭৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের সরবরাহকৃত এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই, সকল অভিভাবককে নির্ভয়ে শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগের পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার এবং উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। ৬-১১ মাস বয়সের প্রতিটি শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান। আর ১২-৫৯ মাস বয়সের প্রতিটি শিশুকে বছরে দুই বার ১ টি করে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমানসহ কর্মসূচী বাস্তবায়ণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডিএসসিসি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।