বাবা নান্দুর স্বপ্ন ছিল ছেলে পূর্ণচন্দ্রকে পুলিশের চাকুরী করাবেন। ছেলেরেও ইচ্ছে ছিলো বাবার স্বপ্ন পুরণ করার। সবকিছু ঠিকঠাক। সকাল সকাল লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে বাপ-ছেলের যাত্রা। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এক সড়ক দুর্ঘটনায় কাল হলো তাদের। নান্দু চন্দ্রের সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। পুলিশের চাকরি পেতে গিয়ে সকালে নান্দু চন্দ্র আর বিকালে লাশ হয়ে ফিরলেন পূর্ণচন্দ্র। স্বপ্ন গড়তে গিয়ে এমন মৃত্যু যেন কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

বুধবার সকালে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পলাশী নামক স্থানে ট্রাক অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নান্দু চন্দ্রের (৫৫) মৃত্যু হয়। এসময় অটোচালক রবিউল (৩৬) ও মারা যান। এ ঘটনায় নান্দু চন্দ্রের ছেলে পূর্ণ চন্দ্রসহ আরও ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবশেষে রাত ১২ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পূর্ণ চন্দ্র (২০) মারা যান। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জন দাঁড়াল।

নিহতরা সবাই লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ওয়াবদা বাজার এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে ওই পরিবারে চলছে আহাজারি। আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে উঠেছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে যাচ্ছিলেন অভিভাবকসহ কালীগঞ্জের ওয়াবদা বাজার এলাকার আটজন। পথে পলাশী বাজারের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাপায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক রবিউল ও যাত্রী নান্দু চন্দ্র মারা যান। আহত হন নান্দুর ছেলে পূর্ণসহ আরো অন্তত ৫ জন। আহতদের মধ্যে চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু হয় পূর্ণ চন্দ্রের মৃত্যু হয়।