বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। একই সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি খারাপ থেকে অতি খারাপ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, এরপরও যদি এটাকে তারা (সরকার দলীয় নেতারা) বিচ্ছিন্ন ঘটা বলেন, তাহলে বুঝতে হবে তারা সবকিছুকে আড়াল করতে চাইছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করার কারণে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া-৬ আসনে জিএম সিরাজ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিশ্বজিৎ হত্যার সঙ্গে বরগুনার কোনো যোগসূত্র দেখছেন কিনা, সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নে জবাবে ফখরুল বলেন, অবশ্যই যোগসূত্র পাওয়া যাবে। যখন কোনো অপরাধী দলীয় কারণে মুক্ত হয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে অপরাধ করার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে যত হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ হয়েছে এটার কোনো নজির আছে বলে আমাদের জানা নাই। যেহেতু আইনের শাসন, জবাবদিহিতামূলক সরকার নেই। জনগণ এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, পার্লামেন্টে জনগণের সরকার নেই, সে কারণে এই প্রবণতাগুলো বাড়ছে। এখানে ন্যায় বিচার নেই, বিচারহীনতা আছে।

এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদ ঘোষিত গতকালের জোট নিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করার। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকেই আমরা স্বাগত জানাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির উপদেষ্টা বরকত উল্লাহ বুলু, বগুড়া -৬ আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আওয়াল প্রমুখ।