আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক ছিলেন।

শনিবার কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন্তব্য করেন।হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণার তৃতীয় নম্বর পাঠক। এর বাইরে কিছু নেই। আর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই বিশ্বাসী ছিলেন না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেইটাই ২৬ মার্চ সকাল থেকেই সারাদেশে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতারা মাইকে প্রচার করেছিলেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। এরপর আবুল কাশেম সন্দীপ পাঠ করেছিলেন। ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় জনগণ জিয়াউর রহমানকে অনেকটা জোর করে ধরে নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করাতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানে যেসব বাঙ্গালী সৈন্য আছে তারা যেন পাকিস্থান ত্যাগ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। জিয়াউর রহমান সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা অবনতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের বিষয়ে আওযামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি আমলে সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সারা দেশে খুন-ধর্ষণ-রাহাজানি কি পর্যায়ে গিয়েছিল সেটা দেশের মানুষ দেখেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছিল। কারো কোন নিরাপত্তা ছিল না। তাই বর্তমানে দেশের মানুষ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভাল আছে। বিএনপি নেতাদের মুখে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা মানায় না।তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনই সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিল না। কারণ এই দলটির জন্মই হয়েছিল অবৈধভাবে, সামরিক ছাউনিতে। এবারও বিএনপি সংসদে এসে সংসদকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তারা সংসদে এসে অপ্রাসঙ্গিকভাবে মিথ্যাচার করে সংসদকে উত্তপ্ত ও অকার্যকর করার চেষ্টা করছে।