একাদশ জাতীয় সংসদকে নেত্রী বন্দনার সংসদ আখ্যায়িত করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই সংসদে যোগ দিয়ে বিএনপি তাদের দাবি আদায় করতে পারবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোট শরিক দলের এই নেতা।মান্না বলেন, আমাদের সংসদ মানে একেবারে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এক একাকার। সংসদের মধ্যে একেকজন সদস্য দাঁড়িয়ে কেবল নেত্রীর বন্দনা করেন। সমস্ত প্রশংসা তোমার, আর কারও প্রাপ্য নয়। যাকে প্রশংসা করে বলেন, উনিও (প্রধানমন্ত্রী) মিটিমিটি হাসেন। এরকম সার্কাস, এরকম কেরিক্যাচার দেখেছেন?

সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যদের দিকে ইঙ্গিত করে মান্না বলেন, এরপরেও যদি মনে করেন, সেই জায়গায় গিয়ে লড়াই করতে না পারলে বোধহয় এই লড়াইয়ে কখনও জিতব না। আমি তাদেরকে বলি, রাজপথের লড়াইয়ের কথা বাদ দিয়ে যারা সংসদের কথা ভাবেন, তারা মূলত কোনো লড়াই করতে পারবেন না।

আমাদের রাজপথ ছাড়া অন্য কোথাও লড়াই করার জায়গা আছে? সংসদে লড়াই করে জিততে পারবেন? একজন সংসদ সদস্যকে দুই মিনিট কথা বলবার সময় দেওয়া হয়, এক মিনিট পরে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্পিকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্পিকার আগেই বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য, আপনি যেসব বলবেন, তার মধ্যে যদি অসংসদীয় কোনো কথা-বার্তা থাকে, তাহলে কিন্তু বাদ দিয়ে দেব।

কীরকম করে উনি (স্পিকার) জানেন যে সংসদ সদস্য কী বলবেন। উনি কি আগেই কিছু বাদ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন?

রাজপথের আন্দআলনে জোর দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, আপনারা যে যে দল করেন, নিজের দল গোছান। যখন উপযুক্ত সময়, তখন প্রতিবাদের জন্য রাজপথে নামব। নিশ্চয়ই রাজপথে গণতন্ত্রের শক্তি লাগবে।

আজ হোক, কাল হোক, এই বছর হোক, সামনের বছর হোক, বড় জোর দুই বছর, এর মধ্যে আপনাকে নামতে হবে। সেই রকম প্রস্তুতি নিন, সামনের দিকে যান।

জাতীয় রাজনীতি : গণতন্ত্রের মুক্তি শীর্ষক এই আলোচনা সভায় শহীদ জিয়া স্মৃতি পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমেদ বাবুল, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।