বিশ্বের ৫০টি দেশে মাছ ও মাছ জাতীয় পণ্য রফতানি করে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন মাছ ও এ জাতীয় পণ্য রফতানি করা হয়েছে। এ থেকে দেশের আয় ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা।

রোববার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী খসরু জানান, বাংলাদেশ থেকে রফতানি করা মাছ ও এ জাতীয় পণ্যের মধ্যে গত ১১ মাসে চিংড়ি রফতানি করা হয়েছে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন এবং টিনজাত মাছ রফতানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন। চিংড়ি থেকে দুই হাজার ৯১৬ কোটি টাকা ও টিনজাত মাছ থেকে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ।

সরকারি দলের আরেক সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে মোট উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি আরও জানান, দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও কৃষিজ জিডিপি’র প্রায় এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ) মৎস্য খাতের অবদান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে দেশের মানুষের মাছ খাওয়ার পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম।

সরকারি দলেরেই আরেক সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে আশরাফ আলী খান খসরু জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে গবাদি পশুর ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা না থাকলেও একজন করে মাঠকর্মী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জন্য একটি নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।