নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মাদরাসার ১২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসাটির প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১১। যে ১২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এরা সবাই শিশু।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মাহমুদপুর এলাকায় বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমিনকে এসব অভিযোগে আটক করা হয়। তাকে আটকের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা।অভিযুক্ত মাওলানা আল আমিন মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি নয়ামাটি এলাকায় একটি মসজিদে ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

র‌্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী শামশের জানান, গত ২৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অক্সফোর্ড হাই স্কুলের ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তিনি তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট দেখে দুইদিন আগে ফতুল্লার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার মা র‌্যাবের এর কর্মকর্তাকে ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে এসব তথ্য দেন।

এরপর র‌্যাব কর্মকর্তারা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানতে পারে। এসময় আরও কয়েকজন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক একই ধরনের অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে ওই মাদরাসায় গিয়ে প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে আটক করা হয়।