বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায় চলে এসেছে। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এমুহূর্তে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে, সেটি হবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণমাধ্যমের মুক্তি, গণমানুষের মুক্তি।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্রতীকী অনশন পালন করে।অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষ অগণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়। আর এই মুক্তির আর খালেদা জিয়ার মুক্তি একাকার। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য শুধু আইনি লড়াইয়ের নির্ভর না করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সব রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এই ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে না। এ ছাড়া সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দুর্নীতির জন্য গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের লাভের জন্য এবং জনগণের কাছ থেকে দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি আদায় করা করা হচ্ছে।
বাজেটের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী ও সুবিধাভোগকারী ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের পকেট ভারী করার জন্য এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে।

পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনশনকারীদের অনশন ভঙ্গ করান। কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম, ড্যাবের সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ।