দেশের কোনো নদী দখল করার চেষ্টা করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বুড়িগঙ্গার তীরের খোলামোড়া ঘাট এলাকায় নদী রক্ষা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় সীমানা পিলার ও আড়–ষঙ্গিক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কেউ যদি নদী দখল করার চিন্তা করেন, তাহলে ভুল করবেন। এখন আগের সরকার নয়, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। দখলের চেষ্টা করলে যথাযথ বিচার করা হবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু বুড়িগঙ্গা নদী নয়, সব নদী দখলমুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা ও নির্দেশে এই কাজ অবশ্যই এগিয়ে নেওয়া হবে। বুড়িগঙ্গা হবে আনন্দ-বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের টেমস নদী দেখার জন্য লন্ডন যেতে হবে না, বুড়িগঙ্গা আসলেই হবে।

বুড়িগঙ্গার পাড়ে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে কাজ শেষ হবে বলেও তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকা নদী বন্দরের দুই গুরুত্বপূর্ণ নদী তুরাগ এবং বুড়িগঙ্গা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর নাব্যতা ও পরিবেশ হারিয়ে যেতে বসেছে। অতীতের সরকারের মতো নদীকে বিলীন নয়, বরং নদী হয়ে উঠবে জীবিকার উৎস।তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা না থাকার কারণেই সামান্য পাহাড়ি ঢলে সারাদেশ ডুবে যাচ্ছে। তাই এসব নদীকে রক্ষা করতে হবে ও খনন করতে হবে। বুড়িগঙ্গা-তুরাগ এমন একটি পরিবেশ হবে, যেখানে মানুষের জীবিকার উৎস হবে এই নদীগুলো।