পূর্ণিমা আর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটানা বাসাতের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে চরফ্যাশনে বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ঢালচরের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্থাঘাট, হাটবাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বসতঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি হুহু করে বাড়তে থাকে। জোয়ার পানি আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মনজু খন্দকার জানান, প্রতি বছর এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। কিন্ত এবছর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের দাপট থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চমাত্রার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সমগ্র ঢালচর। পানির তোপে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেসে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে ঘরভিটা, ফসলের ক্ষেত, হাটবাজার এবং রাস্তাঘাট। দক্ষিণ উপকূলের ঢালচর বাগান থেকে শতাধিক মহিষ জোয়ারের টানে সাগরে ভেসে গেছে।

জোয়ারের পনিতে ঢালচরের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার বলেন, গত শুক্রবার থেকে জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় বাড়িঘর ডুবে গেছে, রাস্তাঘাটের ব্যপাক ক্ষতি হয়েছে। স্কুল মাদ্রাসায় কøাস বন্ধ রয়েছে। বেশ কিছু মসজিদে নামাজ বিঘিœত হয়েছে।এখনো জোয়ারের পানি প্রতিনিয়ত উঠানামা করছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোজ খবর নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের ঢাল চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেঁড়িবাধ না থাকার ফলে উপজেলার ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে।