নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রোববর (জুলাই ০৭) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় মাশরাফি বাহিনী। এরই ফলে আয়ারল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপ মিশনসহ প্রায় আড়াই মাসের সফরের পরিসমাপ্তি হলো বাংলাদেশ দলের।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ভালো ও খারাপের সংমিশ্রণ। সেমিফাইনালে খেলার আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। তবে ইতিবাচক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে টাইগাররা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ জয় দিয়ে স্বপ্নের মতো শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। তবে বাজে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়েও সেমিফেইনালে খেলা হয়নি বাংলাদেশের।রাউন্ড রবিনেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ায় বাংলাদেশকে দেশে ফিরতে হয়েছে প্রত্যাশা পূরণের আগেই। সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতে থাকা ক্রিকেটাররা ভগ্ন হৃদয় নিয়ে রবিবার বিকেলে দেশে পা রাখে। ইংল্যান্ডে তিনটি জয় পেলেও শেষ চারে না ওঠাকে ব্যর্থতাই মনে করছেন অধিনায়ক মাশরাফি, যার দায়ভার নিজের কাঁধে নিলেন তিনি।

বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছায় মাশরাফিদের বহনকারী বিমান। সেখানে নানা রকম আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধিনায়ক, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। বিশ্বকাপে দল ব্যর্থ হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে সেই ব্যর্থতার দায়ভার অনেকটাই আমার। আমি এর দায় নিচ্ছি, আমাকেই নিতে হবে। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে তাকেও নিতে হতো।

দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনায় মাথা ঘামাচ্ছেন না অধিনায়ক, সমালোচনা হয়ই, এটা স্বাভাবিক। এত বড় টুর্নামেন্টের পর সমালোচনা হতেই পারে। আমরা যদি আরেকটু ভালো করতাম, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতো।এই বিশ্বকাপে তরুণ খেলোয়াড়রা আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। তারপরও তাদের পাশে থাকছেন মাশরাফি, তরুণ খেলোয়াড়দের একনাগাড়ে দোষারোপ করা হয়। এটা ঠিক না। আমরা যারা বর্তমান সিনিয়র খেলোয়াড়, তারা যখন তরুণ ছিলাম তখন কিন্তু আমরা এতটা চাপ নিয়ে খেলিনি। তাই তাদের একতরফা দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারা অনেক চেষ্টা করেছে।

এই তরুণ ক্রিকেটাররা একসময় সাকিব-তামিমের মতো দলের নির্ভরতার প্রতীক হবে বিশ্বাস মাশরাফির, এই মঞ্চ অনেক বড়, এখানে পারফর্ম করা সহজ নয়। আমি আশা করি তারা ধারাবাহিক পারফর্ম করে আজকের সাকিব-তামিম-মাহমুদউল্লাহদের মতো ক্রিকেটার হবে।এদিন দলের সব ক্রিকেটার একসঙ্গে ফিরে আসেননি ঢাকায়। সাকিব থেকে যাচ্ছেন লন্ডনে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ইউরোপে ঘুরে বেড়াবেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড়।

মেহেদী হাসান মিরাজও আসেননি। বিশ্বকাপের মাঝপথে তার স্ত্রী গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। স্ত্রীকে নিয়ে বেড়িয়ে কয়েকদিন পর দেশে ফিরবেন মিরাজ। সাব্বির রহমান আর লিটন দাসও থেকে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডে। এই চার ক্রিকেটার ছাড়া বাকিরা ফিরেছেন দেশে।আয়ারল্যান্ড সফর শেষে কয়েক দিনের জন্য দেশে ফিরেছিলেন মাশরাফি। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ইংল্যান্ডে যান তিনি। বিশ্বকাপের পুরোটা পরিবার নিয়ে ইংল্যান্ডে কাটিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শুক্রবার সকালে স্ত্রী-সন্তানরা দেশে ফিরলেও মাশরাফি ফিরেছেন দলের সঙ্গে।এবারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৮টিতে মাঠে নেমে তিনটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে।তাই সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট।১০ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।