মিডিয়াতে যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা না হয় সে জন্য সব ধরনের মিডিয়াকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

রোববার (৭ জুলাই)জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু জাহিরের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পক্ষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াতে যাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না হয় সেজন্য তথ্যমন্ত্রণালয় সব থেকে ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালের সংবাদ পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি করা হয়। সব ক্ষেত্রে আমরা নজরদারি করছি। কোথাও বিভ্রান্তিকর, বিব্রতকর, ভুল, অসত্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে আমরা তাক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেই।ইতোমধ্যে ৫৭ ধারা প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্য যেসব ক্ষেত্রে ভুল, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়, আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য এলে আমরা প্রচলতি আইনে ব্যবস্থা নেই। ভষ্যিতেও করা হবে।

বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারা বা যে ধারাটির কথা বলা হয় এর মধ্য দিয়ে কোনো তথ্য বা সংবাদ প্রচারে কোনো বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না। কেউ যদি কোনো বাধা মনে করেন তাহলে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারলে আমরা আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো। আওয়ামী লীগের সদস্য সামিউদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা আবেদন করবেন এর মধ্য থেকে যে প্রতিষ্ঠানগুলো যোগ্য বিবেচিত হবে তারাই নিবন্ধন পাবে।