নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।জাতিসংঘ মহাসচিবের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স ফর ডেভেলাপমেন্ট’ বা উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের (ইউএনএসজিএসএ) এর বিশেষ দূত হিসেবে রাণী এই সফরে আসেন। সাধারণ মানুষ যেন সহজেই আর্থিক সেবা খাতের সহযোগিতা পেতে পারে, সে বিষয় মাথায় রেখে বাংলাদেশ এখন একটি কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজ করছে।

কুইন ম্যাক্সিমা বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনদিনের সফরে এসেছেন।তাঁর সফরকালীন সময়ে, নারীদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা প্রাপ্তি যেন সহজ হয়, সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেবেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়ের একটা যোগসূত্র কেন থাকা প্রয়োজন সে সম্পর্কেও কথা বলবেন তিনি। তাঁর আলোচ্য সূচিতে থাকছে দি বাংলাদেশ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ইনক্লুসিভ ফাইনান্স (এনএফআইএস) বা উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে জাতীয় কৌশলপত্র।

১০ জুলাই বুধবার রাণী ম্যাক্সিমা প্রথমে উন্নয়ন সহযোগী এবং জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয়ে আর্থিকখাতে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারপর তিনি আইপে প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করবেন।আইপে নামক প্রতিষ্ঠানটি ই-ওয়ালেট চালু করেছে। এর মাধ্যমে স্মার্ট ফোনে আইপে ই-ওয়ালেট ইনস্টল করে ভোক্তারা অনলাইনে লেনদেন করতে পারেন।

সবশেষ তিনি ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান শপআপ, ফিনটেক, পরিদর্শন করবেন। ‘শপআপ’ ব্যবসা পরিচালনা ও ব্যবসা সম্প্রসারণে কীভাবে ঋণ পেতে হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ সহযোগিতা দিয়ে থাকে।
১১ জুলাই কুইন ম্যাক্সিমা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হবেন। তাছাড়া তার সফরকালীন সময়ে ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি বৈঠক করবেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ফজলে কবির, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন এবং এনএফআইএস নিয়ে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।এর আগে রাণী ইউএনএসজিএসএর পদাধিকার বলে ২০১৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন।রাণী ম্যাক্সিমা ইউএনএসজিএসএ হিসেবে নিযুক্ত হন ২০০৯ সালে। পদাধিকারবলে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সবার জন্য নিরাপদে ও সুলভে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতে কাজ করেন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ভুক্ত গোষ্ঠী, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাঁর কাজে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।