পাবনার ঈশ্বরদীতে চিকিৎসকের অবহেলায় মদিনাতুল আক্তার মহনা (আড়াই বছর বয়স) নামে এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশু সন্তানের অকাল মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

শিশুর স্বজন সূত্রে জানা যায়, শহরের শৈলপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মিন্টু মির্জার মেয়ে সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টায় পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি বলে শিশুর পরিবার অভিযোগ করেন। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সরা তেমন চিকিৎসা সেবা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়।

এক পর্যায়ে শিশুর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হয় এবং রাত ১০টার দিকে শিশুটি মারা যায়। মহনার বাবা মিন্টু মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘বারবার পানির মতো পাতলা পায়খানা, ঘন ঘন বমি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত ও গায়ে জ্বর ছিল আমার মেয়ের। আমি বুঝতে পেরেছিলাম ক্রমশই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে বারবার বলেছিলাম আমার মেয়ের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তা তাঁরা করেনি। এমনকি কোন নার্সও আমার শিশুটির চিকিৎসায় এগিয়ে আসেনি। শুধু মাত্র চিকিৎসকের গাফিলতিতে আমার সন্তান মারা গেল। চিকিৎসা না পেয়ে আর কোন বাবা-মায়ের বুক যেন খালি না হয় সেজন্য দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাসনিম তামান্না স্বর্ণা বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের একাধিক পদ শুন্য। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করছি। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্রচন্ড গরম ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় কোন গাফিলতি ছিল না।