আন্দোলনরত রিকশাচালকদের নগর ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, হাজারো রাস্তার মধ্যে মাত্র দুটি প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে,নাগরিকদের জন্যই। লক্ষ-কোটি মানুষকে জিম্মি করে এধরনের আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের সব সিদ্ধান্ত নাগরিকদের পছন্দ নাও হতে পারে। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে মেয়র এসব কথা বলেন।সাঈদ খোকন বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় ডেঙ্গু কিছুটা কম। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি কেউ বেশি আক্রান্ত হন, প্রয়োজনে তাকে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে বিদেশে পাঠানো হবে। মশা নিধনে আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করি, সেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী ব্যবহৃত হচ্ছে।

মেয়র বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার। সিঙ্গাপুরে পাঁচ বছরে ছয় হাজার ২২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা ঢাকার থেকে বেশি। জানুয়ারি থেকে ৯ জুলাই সারাদেশ থেকে ২১০০ রোগী ঢাকায় এসেছেন। এর মধ্যে ১৮৭৫ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

রিকশাচালকদের নগর ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে রিকশাচালকদের কোনো বিষয়ে কথা থাকলে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।কর্মশালায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, তাদের যদি কোনো কথা থাকে, দাবি থাকে, আমরা সেগুলো শুনবো। আমি তাদেরকে নগর ভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধানের পথ বের করবো।
তবে যে দুইটি রুটের তিনটি সড়কে রিকশাচলাচল বন্ধ করা হয়েছে তা বহাল থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র। তিনি বলেন, যে সড়কগুলোতে রিকশা বন্ধ করা হয়েছে সেখানে যাত্রী বা নাগরিকদের তেমন একটা ভোগান্তির চিত্র আমরা দেখতে পাইনি। নগরবাসীর চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গণপরিবহন রয়েছে। এছাড়াও দ্রুতই আমরা টিকিট সিস্টেম ফ্রাঞ্চাইজির বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতো যাচ্ছি। আর পথচারীদের হাঁটার সুবিধার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করছি। তাই এসব রুটে ফের রিকশা চলবে তেমনটা আপাতত আমরা মনে করছি না। তবুও সাতদিন পার হলে আমাদের যে কমিটি আছে (ঢাকা ট্রাফিক কন্ট্রোল অথরিটি-ডিটিসিএ), আমরা পুনরায় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।