নৌ-পথে ট্যুরিজমকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ না, বাংলাদেশের সাথে বে অফ বেঙ্গল অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর সঙ্গে একটা নৌ ট্যুরিজম ডেভলপ করতে পারি। সেই সুযোগও আছে এবং এব্যাপারে আলোচনা চলছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা এজ দ্যা ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯র অফিসিয়াল সেলিব্রেসনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ঐতিহ্য আতিথেয়তার শহর ঢাকায় আগমনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বেই আজকে পর্যটন একটা দ্রুত বর্ধনশীল খাত হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

বিশ্ব ভ্রমণ ও পর্যটন কাউন্সিলের তথ্য মতে, সব দেশেই জাতীয় আয়ে পর্যটন বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। কাজেই আমাদেরকেও সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই নদীমাতৃক, সবুজ, সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশকে আরও আকর্ষনীয় করা এবং পর্যটকদের আরও কিভাবে আকর্ষিত করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

নদী মাতৃক বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় নৌরুটে আগামী দিনে পর্যটন বিকশিত করার আশা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নদী মাতৃক বাংলাদেশ। এই নৌ পথে ট্যুরিজম কিন্তু আমরা খুব আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি। সেই সাথে শুধু বাংলাদেশ না, বাংলাদেশের সাথে বে অব বেঙ্গল অন্তর্ভুক্তগুলোর সঙ্গেও একটা নৌরুটে আমরা ট্যুরিজমটা ডেভলপ করতে পারি। সেই সুযোগটাও আছে। এব্যাপারে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি।২০১৯ সালে ওআইসি পর্যটন নগরী হিসাবে ঢাকাকে নির্বাচিত করায় সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ল সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক এবং ওআইসি মহাসচিবের পক্ষে সহকারি মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।