অস্ত্র মামলার এক আসামিকে আইনের নির্ধারিত সর্বনিম্ন সাজার (১০ বছর) চেয়ে কম সাজা (৭ বছর) দেওয়ার ঘটনায় নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির আপিল আবেদনের পর বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এ আদেশ দেন।আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. তাহেরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম ও আনোয়ারা শাহজাহান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ।

পরে আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই পিস্তলসহ মো. রাজ্জাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইদিন তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় বিচার শেষে চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাজ্জাককে সাত বছরের কারাদ- দেন নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন। ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ক ধারায় এ সাজা দেওয়া হয়। অথচ আইনের এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছর কারাদন্ড।

পরে আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার আদালত তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেছেন। একইঙ্গে দন্ডের বিষয়টি নজরে আসায় ওই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আইনের কোন কর্তৃত্ববলে এ আদেশ দিয়েছেন তা আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আদালত আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।