বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে সর্বপ্রথম ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে ৯২ রানে হারে তারা। দীর্ঘ ৪০ বছর পর আবারও ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। আর ২৭ বছর অপেক্ষার পর চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠেছে ক্রিকেটের জনকরা। ইংলিশরা সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল ১৯৯২ সালে মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর আরও ছয়টি আসর কেটে গেলেও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলা হয়নি তাদের।

অবশেষে দ্বাদশ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় আর চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে রানির দেশ।

ফাইনাল নির্ধারণী ম্যাচে মরগানদের ২২৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় অজিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জেসন রয়-জো রুট-ইউইন মরগানের ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩২.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। রয় ৬৫ বলে ৯ চার ৫ ছয়ে খেলেন ৮৫ রানের দানবীয় ইনিংস। এছাড়াও ৪৬ বলে ৮ চারে ৪৯ রানে রুট এবং ৩৯ বলে ৮ চারে ৪৫ রানে অধিনায়ক ইউইন মরগান অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ইনিংসের ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রয়কে ফেরান প্যাট কামিন্স। ইনিংসের ১২৪ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইংলিশ ওপেনার। এর কিছু সময় পরই আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিচেল স্টার্ক। ৪৩ বলে ৫ চারে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে চড়ে ৪৯ ওভারে সবকয়টি উইকেট বিলিয়ে ২২৩ রান তোলে ক্যাঙ্গারুরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন সাবেক এই অধিনায়ক। রান আউট হওয়ার পূর্বে ১১৯ বলে ৬ চারে স্মিথ সাজান তার ৮৫ রানের ইনিংসটি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন অ্যালেক্স ক্যারে। ৭০ বল ৪ চারে খেলে ৪৬ রানের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস ওকস এবং আদিল রশিদ নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া জোফরা আর্চার দুটি ও মার্ক উড বাকি একটি উইকেট শিকার করেন।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় মাঠে গড়ায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। আগামী ১৪ জুলাই রবিবার ঐতিহাসিক লর্ডসে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড।