গাজীপুরে শ্রীপুরের জারবা টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড কারখানায় শুক্রবার রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার কর্মকর্তাসহ ৮ জন দ্বগ্ধ ও আহত হয়েছে। দ্বগ্ধ চারজনকে আশংকা জনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, কারখানার রক্ষণাবেক্ষন অফিসার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রউফ হাওলাদারের ছেলে রিপন মিয়া (৩০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে কারখানার ই-সহকারি প্রকৌশলী খলিল মিয়া (২৪), বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসমাইল গাজীর ছেলে কারখানার ফায়ার অফিসার সিদ্দিকুর রহমান (৩৮), রংপুরের গঙ্গাচরা উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৫), মিজান (২৭), সাইফুল (২৬), সজীব (২৮) ও হাফিজ (৩০)।

মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা রাম প্রসাদ পাল ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া এলাকাস্থিত নোমান শিল্প গ্রুপের জারবা টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড কারখানার জেনারেটর রুমে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। বিষ্ফোরণে ওই কক্ষের দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন মালামাল উড়ে বেশ কয়েকগজ দুরে ছিটকে পড়ে। গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারনে জেনারেটর রুমের পাশে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাওনা ষ্টেশনের দু’টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই কারখানার কর্মীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে ৫জনসহ মোট ৮ জন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় আল-হেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে দ্বগ্ধ চারজন মিজান (২৭), সাইফুল (২৬), সজীব (২৮) ও হাফিজকে (৩০) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে কারখানায় অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

আল-হেরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিসক ফারুক হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অন্যরা এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।