প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে প্রকাশ সেফুদা কে নিয়ে প্রশ্ন করায় রাজউকের শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই প্রশ্নে উদ্দীপকটি ছিল- “অদ্ভুত একধরনের মানুষ সিফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন ধরণের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশ্যে বলে, মদ খাবি মানুষ হবি, আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম। তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বলেন, তার মধ্যে যদি ঈমানের সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান প্রভাব পরিলক্ষিত হতো তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন ও মর্যাদাবান এক ব্যক্তি।উদ্দীপকের আলোকে জ্ঞান অনুধাবন প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন করা হয় প্রশ্নগুলো হলো আকাইদ কি? ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন? বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে দেওয়া সেফুদার বক্তব্য কিসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো।

গত কয়েকদিন থেকে এ বিষয় নিয়ে পত্রিকাগুলো সরগরম। কেউ বলছেন প্রশ্নের এই উদ্দীপকটি কাঠামোগতভাবে দুর্বল। আলোচিত শিক্ষক জাহিনুল হাসান প্রশ্নের উদ্দীপকে সেফুদা নামটি না লিখলেও পারতেন।কেউ যখন আইনের উর্ধ্বে নয় বা তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম বিতর্কিত ব্যক্তির নাম না নিলেও হতো। সে কি এমন ব্যক্তি যাকে নিয়ে কিছু লিখলে দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে যায়। যেই ক্ষতি পূরণ করতে শিক্ষককে নাজেহাল হতে হবে! শুধু প্রশ্ন প্রস্তুতকারি বরখাস্ত হবে কেন, যে তিন শিক্ষক এই প্রশ্ন মডারেট করেছেন তাদেরও বরখাস্ত হওয়ার কথা। এবার ভাবুন, শিক্ষক বরখাস্ত কার স্বার্থে! সেফুদা নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে? তাহলে কি দাঁড়ালো-অশ্লীল বাক্যই যার স্বাভাবিক ভাষা এমন একজন বিতর্কিত, চরিত্রহীন, মাদকাসক্ত, নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী, ইসলাম কে নিয়ে নানা বাজে কথা, পবিত্র কুরআনের অবমাননা, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা কে নিয়ে মিথ্যারোপ করেছেন। তাছাড়া আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। আমি যা লিখেছি এই কথাগুলোর প্রমাণ তার অসংখ্য ভিডিও। যে কেউ চাইলে ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারবেন।

সেফুদা সে স্বঘোষিত একজন নাস্তিক। অস্ট্রিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী একজন ব্যক্তি। তাকে নিয়ে কিছু লিখবার কারণে শিক্ষকরা বরখাস্ত হবেন, কেউ কেউ চাকরি হারাবেন এমনটি জুলুমের আওতাধীন। তাই আমাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ যেন সুন্দর ও কল্যাণকর হয় সেই চেষ্টা করা উচিত। যাদের দ্বারা ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, ইসলামের ক্ষতি হয়, ঈমানের ক্ষতি হ্য়, মনের মধ্যে কুমন্ত্রণা জাগে তাদেরকে সনাক্ত করা খুবই জরুরী।

আমরা সাদাকে সাদা বলতে শিখবো। কালোকে কালো বলতে শিখবো। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখবো। আমরা যখন কাজগুলো আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য করবো তখন পাহাড় সমান বিপদ এলেও আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন।আল্লাহর উপর যথাযথ ভরসা রাখলে বিপদে ধৈর্য্য রাখার তাওফিক দিবেন। ইংশাআল্লাহ

লেখক-

মুহাম্মদ আবদুল কাহহার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট
হাজারীবাগ, ঢাকা ১২০৯