মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার সকালে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দিসহ অন্তত ৪টি গ্রামে পর্যায়ক্রমে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটানা ঘটে।

জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা গ্র“পের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদ (৫৬), নূর উদ্দিন সরকার (৫০), সোলেমান গাজী (৩৮) ও আকরাম খানকে (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহত রহমত উল্লাহ (১৭), ডালিম মৃধা (২২),কামাল সরকার (৩৫), আদনান উল্লাহ (২৮),অহিদুল ইসলাম(৩২), রাজ্জাক শিকদার (৫২), সোলেমান (৪০), আকরাম (৩৭), আবু সায়েদ (৫০), রহমত উল্লাহ (১৭), আবুল কালাম (৩৫), মো. সুজন (৩৫), গৃহবধূ তাসলিমা (৫০), শাহনাজ (৩০), কলেজ ছাত্র মো. সাকিলকে (১৯) মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, বেহেরকান্দি গ্রামের শ্বশুর তারা দেওয়ান কর্তৃক পুত্রবধূ নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লার গ্রুপ দুই পক্ষ নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে চেয়ারম্যান কল্পনা গ্র“পের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন দেওয়ানসহ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা মোল্লার ছেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার মোল্লার কংসপুরা গ্রামের বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে মোস্তফা মোল্লা পক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরহাদ খা, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজু ঢালী ও উজির আলীর নোয়াদ্দারের লোকজন লক্ষীদিবি, বেহেরকান্দি ও ঢালীকান্দি গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও কককেট বিষ্ফোরণ করে।

মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা জানান, তার সমর্থক স্বপন দেওয়ানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার বা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়াতে আজ এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।