১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা-কর্মীর স্বজনদের প্রতি ‘সহানুভূতি প্রদর্শন’ করতে ঈশ্বরদীতে এসেছিলেন বিএনপির দলীয় ৬ সংসদ সদস্য।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে তারা পাবনার ঈশ্বরদীতে এসে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের গ্রামের বাড়ি উপজেলার সাহাপুরে দন্ডপ্রাপ্ত এসব নেতাকর্মীর স্বজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির সংসদ সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ (জিএম সিরাজ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা প্রমুখ।

এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ এখন জংলীরা পরিচালনা করছে। এই দেশ এখন অনির্বাচিতদের হাতে। তাই একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। দন্ডপ্রাপ্তদের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, লন্ডন থেকে তারেক রহমান মামলার বিষয়টি সরাসরি তদারকি করছেন, আপনাদের দু:চিন্তার কোন কারণ নেই। দেশে আইনের শাসন থাকলে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে সবাই এই মামলা থেকে খালাস পাবেন।

ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ঈশ্বরদীর যে ঘটনায় একজনও আহত হয়নি, সেই ঘটনার মামলাতে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে নুন্যতম আইনের শাসন যদি থাকে তাহলে উচ্চ আদালতে এই মামলা খারিজ হয়ে যাবে। তাছাড়া এই রায় সরকারের ফর্মায়েশি রায়। এই রায় এ দেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না।