পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনতে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) শুরু করা হ্যালো ওসি কর্মসূচি সারা শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। নগরীর বাকি ১৫ থানার ওসিকে মাসে কমপক্ষে একদিন প্রান্তিক ও জনবহুল এলাকায় গিয়ে হ্যালো ওসি কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৭ জুলাই)চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মাসিক অপরাধ সভায় কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এই নির্দেশনা দেন।

জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, কোতোয়ালী থানার ওসি এরইমধ্যে এলাকায়-এলাকায় গিয়ে একটি প্রোগ্রাম শুরু করেছি। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। আমরা এটাকে সারা শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে প্রত্যেক ওসি মাসে কমপক্ষে একবার নিজ নিজ থানার অধীন প্রান্তিক ও জনবহুল এলাকায়, যেখানকার লোকজন থানায় আসতে পারে না কিংবা থানায় আসতে ভয় পায়, তাদের কাছে যাবেন। তাদের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

অপরাধ সভায় কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও ছিলেন।উপস্থিত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, সভায় সিএমপি কমিশনার ওসিদের উদ্দেশে বলেন- কোতোয়ালী থানার ওসি মহসীন হ্যালো ওসি নাম দিয়ে যে কর্মসূচিটা শুরু করেছে এটা খুবই ভালো কাজ। যদিও আপনাদের অনেকেই এটা নিয়ে নাক সিঁটকাতে পারেন। কিন্তু ভালো কাজকে অবশ্যই ভালো বলতে হবে। ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে। এই প্রোগ্রাম সারা শহরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

গত ১০ জুলাই নগরীর মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত চৌদ্দ জামতলা এলাকায় হ্যালো ওসি নামে ভ্রাম্যমাণ বুথ বসিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। প্রথমদিনেই কয়েকজন মাদক বিক্রেতা আত্মসমর্পণের পাশাপাশি বুথে এসে অন্ধকার জগত ছাড়তে ওসি’র সহযোগিতা চান কয়েকজন।

প্রতি সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ এই বুথ নিয়ে এলাকায়-এলাকায় যাবার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ওসি মহসীন। সিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার মধ্য দিয়ে ওসি মোহাম্মদ মহসীনের এই কার্যক্রম এখন নগরীজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, আমরা বিভিন্ন বিটে গিয়ে নিয়মিত সভা করি। সেখানেও বিভিন্ন বক্তব্য শুনি। তবে হ্যালো ওসি প্রোগ্রাম আরও ভালো। কমিশনার স্যারের নির্দেশে এখন আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এই কর্মসূচি পালন করব।