পাবনা’র আটঘরিয়া উপজেলার অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নার্সারী শ্রেনীর শিশু স্কুল ছাত্রী (৯)’র ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামী ওমর আলীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা। শনিবার সকালে আটঘরিয়া বাজারে এই মানববন্ধ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/০৩) এর ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা হলে পুলিশ ধর্ষক ওমর আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগার হাজতে প্রেরন করেছেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই উপজেলার থানা পাড়া গ্রামের মোঃ ওয়াসিম আলীর মেয়ে ও অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নার্সারী শ্রেনীর ছাত্রী (৯) স্কুল থেকে বাড়িতে আসে। পরে বিকালে একই গ্রামের মৃত-আলীম উদ্দিনের ছেলে লম্পট ওমর আলী (৫৫) এর মুদিখানা দোকানে খাতা কেনার জন্য যায়। এই সুযোগে ওমর আলী বিভিন্ন ধরনের খাতা দেখানোর কথা বলে তাকে দোকানের ভিতরে টেনে নিয়ে দোকানের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আসাদ নামক এক ক্রেতা এসে বিষয়টি দেখে ফেলতে ওমর আলী আবল তাবল বলতে থাকে। পরে শিশুটি বাড়ী গিয়ে বিষয়টি তার বাবা-মার কাছে জানালে তারা আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাকে ওই দিন গ্রেফতার করে। এলাকাবাসিরা জানান, ধর্ষক ওমর আলী দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত। সে এর আগেও এই গ্রামে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে ছিলো। কিন্ত এর কোন সঠিক বিচার হয় না।

অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। সে আমার স্কুলের নার্সারী শ্রেনীর একজন ভাল ছাত্রী। ঘটনা জানার পর তার অভিভাবককে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি করছি। শিক্ষিকা সেলিনা খাতুন ও হালিমা খাতুন জানান, এটা একটা জঘন্যতম অপরাধ। এর কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার বলে মনে করছি। ওই এলাকার কাউন্সিলর নিরোদ কর্মকার নিরু জানান, বিষয়টি একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা। সে মাঝে মধ্যেই এধরনের ঘটনা ঘটায়। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।