সফটওয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের (বাউবি) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকৌশলী এমদাদুল হক ইমনকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ইমন বাউবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কুমিল্লা জেলার কতোয়ালী থানার অনুপম এলাকার জহিরুল হকের ছেলে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোর্টের ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কম্পিউটারে সফটওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন গোপন তথ্য সমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করে আসছিল ইমন। বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে রবিবার সন্ধ্যায় ইমনের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাউবি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিক্সন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ ইমনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার গাজীপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়। গাজীপুর আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আগামী ২৪ জুলাই রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য ও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

বাউবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড এমএ মাননান জানান, বাউবি’র বিভিন্ন বিভাগে দু’শতাধিক কম্পিউটার রয়েছে। এসব কম্পিউটারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রসহ বিশ^বিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। বাউবি’র কম্পিউটার ডিভিশনের হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ইমন আমার কক্ষের কম্পিউটারসহ এসব কম্পিউটারগুলোতে অননুমোদিত ভাবে গোপনে একটি সফটওয়ার ইনস্টল করে। পরবর্তীতে ওইসব কম্পিউটার হতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য সম্বলিত ডাটা ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্যত্র স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়। এমনকি ওই সফটওয়ারের মাধ্যমে ঘরে বসে সে বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার মনিটরিং করতো ইমন। প্রায় দু’বছর ধরে সে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গত কয়েকদিনে আমার অফিস কক্ষের দু’টি কম্পিউটার হতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডাটা স্থানান্তর করায় ওই কম্পিউটারে সেগুলো পাওয়া যায় নি। বিষয়টির তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ইমন হাতেনাতে ধরা পড়ে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।