সারা দেশে ফিটনেস নবায়ন ছাড়াই ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যান চলাচল করছে উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ)। গত ২৪ জুন হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের প্রেক্ষিতে বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন জমা দেন।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব গাড়ি মালিকদের ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় আদালত এ বিসয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন। একই সঙ্গে আদালতের আদেশসহ ফিটনেস নবায়ন বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বিআরটিএ ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ।রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনুদ্দিন মানিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

আদালতের এই আদেশ ব্যাপকভাবে পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের এই আদেশ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও পুলিশের আইজিকে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে বিআরটিএর পক্ষ থেকে পরিবহনের বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে এ বছর ছয় কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে ৭২৮ জন চালককে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি।এর আগে গত ২৪ জুন ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি ও লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।