বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আরেকটি নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

কারামুক্ত বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেলকে নিয়ে শুক্রবার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা সিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আজকে এখানে শপথ নিয়েছি, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য সব রকমের আন্দোলন বেগবান করব এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্যে, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্ত করবার জন্যে, তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবার জন্যে আমরা অবশ্যই আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল বিএনপি, তবে তাতে সাফল্যের দেখা তারা পায়নি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের কটাক্ষও তাদের বিভিন্ন সময়ে সইতে হয়েছে।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনো সময় আছে, আপনারা রাজবন্দিদের মুক্তি দিন, দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন, মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করুন।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে গত দেড় বছর ধরে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় বেআইনিভাবে তাকে ১৮ মাস যাবত আটক করে রাখা হয়েছে। এখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এই অসুস্থ অবস্থায় তিনি সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছেন না।

আগের মতই বর্তমান সংসদকে অবৈধ আখ্যায়িত করেন বিএনপি মহাসচিব। এ সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় এদেশের জনগণ কোনোদিনও আপনাদের ক্ষমা করবে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন,স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার,মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল্লাহ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলসহ মহানগরের নেতা-কর্মীরা এ সময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল গত ১১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান। তারি বিরুদ্ধে ২১২টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।