পাবনার শহরের শিবরামপুর মহিষের ডিপো এলাকায় ভাড়া বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। শুক্রবার সকালে ওই নারীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক হায়দার আলীকে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, দুইমাস আগে তিনি ও তার গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই মিলে শিবরামপুর এলাকায় হায়দার আলীর বাড়ি ভাড়া নেন। গত বুধবার (২৪ জুলাই) কাজের চাপ বেশি থাকায় তার ভাই রাতে বাড়িতে ফেরেননি। এদিন রাতে খাবার শেষে ভুক্তভোগী নারী ঘুমিয়ে পড়লে রাত দুইটার দিকে বাড়িওয়ালার সহযোগীতায় চার যুবক ঘরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাড়িতে ফিরে ঘটনা জানতে পারেন। এ সময় নির্যাতিতা নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত একটার দিকে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাবনা সদর হাসপাতালে গাইনী বিভাগের চিকিৎসক প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নার্গিস সুলতানা জানান, প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মেয়েটির পরীক্ষা করছি। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় তাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলেও জানান তিনি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, ঘটনা জানার পরপরই বাড়ির মালিক হায়দার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে যৌন হয়রানী নিমূল করণ নেটওয়ার্ক আহবায়ক হাসিনা আখতার রোজি ও সদস্য সচিব লুইচ গমেজ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি জোর দাবী জানিয়েছেন।