মশার ওষুধ সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ‘সিন্ডিকেট’ভেঙে দেয়া হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সিন্ডিকেট ভাঙার ফলে কার্যকর মশার ওষুধ বিদেশ থেকে কিনে আনার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। বললেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, গতকাল দুইদিন মশার ওষুধ ক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে দেখলাম দেশে মশার ওষুধ কেনা হয় মাত্র দুইটি কোম্পানির কাছ থেকে। এ দুই কোম্পানি হচ্ছে- নোকন ইনসেক্টিসাইড লিমিটেড ও লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেড। এর মধ্যে লিমিট অ্যাগ্রো কালো তালিকাভুক্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং একটি বিজ্ঞপ্তিকে কৌশলে ‘বিধি’ বানিয়ে অন্যদের ওষুধ আমদানিতে বিরত রেখেছে।

মেয়র আতিকুল বলেন, ২০১৫ সালে অধিদপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তিকে বিধি উল্লেখ করে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছে যেন ওই দুই কোম্পানি বাদে অন্যদের থেকে কেউ ওষুধ আমদানি করতে বা কিনতে না পারেন। মূলত এটা একটা সিন্ডিকেট। মেয়র আরও বলেন, দুইটি কোম্পানির জন্য পুরো জাতির সামনে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। আমি সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছি। আমি জরুরিভিত্তিতে হলেও সিটি করপোরেশন যেন তার ওষুধ সে নিজেই কিনে আনতে পারে সেই সুযোগ চেয়েছি। আমাকে দেওয়াও হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডিএনসিসি এখন কী পদক্ষেপ নেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এখন যে ওষুধ আছে তা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অর্থ্যাৎ ওষুধ ছিটানোর পরিমাণ বেড়ে যাবে। যেখানে পাঁচটি মেশিন দিয়ে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, এখন সেখানে মেশিন ১০টি করা হচ্ছে। আমরা ওষুধ না কেনা পর্যন্ত যে ওষুধ আছে সেগুলোই বাড়িয়ে দেওয়া হবে।