বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ার লাইন্সের হজ ফ্লাইটে গত ৪ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪৬৭ জন বাংলাদেশী হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে ২জন মহিলাসহ মারা গেছেন ২৪ জন।
বুধবার (৩১ জুলাই) মক্কায় হজ অফিসের এক বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মক্কা হজ কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান সৌদি আরবে সারাবাংলা প্রতিনিধির কাছে জানান, এবারে ৫৯৮টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন বাংলাদেশী হজ করতে পারবেন। এ বছর প্রথমবারের মত সৌদি আরবের প্রিঅ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে চালু করা হয়েছে। ফলে সৌদি আরবের বিমান বন্দরে পৌঁছে হজযাত্রীরা ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা না করে সরাসরি মক্কায় পৌঁছাতে পারছেন।

তিনি আরও জানান, যারা বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করতে এসে মারা গেছেন তাদেরকে সৌদি আরবে দাফন করা হবে।এবারে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ৪ জুলাই থেকে, যাত্রার শেষ ফ্লাইট ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর আগামী ১৭ আগস্ট হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ হজ অফিস মক্কার কনফারেন্স কক্ষে গতকাল ৩০ জুলাই রাত ১০টায় প্রশাসনিক দলের দলনেতা এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব জনাব মো. জহির আহমেদ এর সভাপতিত্বে হজ প্রশাসনিক দলের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আগত হজযাত্রীদের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য আসা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম, হজ অফিস মক্কার কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান, মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিসের মৌসুমী হজ অফিসার, প্রশাসনিক দলের সদস্যবৃন্দ এবং আইটি দলের দলনেতা।

এরপর রাতে মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম হজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, মেডিকেল সেন্টারে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এর মাধ্যমে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে হাজীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এবারের হজ মেডিকেল এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক।