অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যারা বেনামে ঋণ নিয়েছে টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য; তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের পেছনে আমরা এজেন্সির লোক নিয়োগ দেব। দেশ-বিদেশে যেখানেই থাকুক তাদের বের করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঋণ আদায় সহজ করে দেব কিন্তু ঋণ মাফ করতে পারব না।

রাজধানীর মতিঝিলে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর বেসিক ব্যাংকের যে সব শাখা লোকসান দিয়েছে। এ বছরও যদি তারা লোকসান দেয়। তাহলে ওইসব শাখা বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রায় ৩৬টি শাখা লোকসানে আছে।

তিনি আরও বলেন, বেসিক ব্যাংকে স্পেশাল অডিট করা হবে।অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কম হলেও শাস্তি দেয়া হবে।অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ব্যাংক ইচ্ছা করলে খেলাপি ঋণ আদায় করতে পারে। ঋণ আদায়ে শক্ত হতে হবে। বর্তমানে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্টে সরকার পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এটি গ্রহণ করে কেউ যদি আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এতো দুর্নাম নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদেরও ব্যবস্থা নেয়া যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তা কাজ না করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মাজিদ বলেন, বেসিক ব্যাংকে বেশ কিছু ঋণের অনিয়ম হয়েছিল। আমরা অনিয়মগুলো নিহ্নিত করে ঋণ আদায় ও পুনঃতফসিল করি। কিন্ত দেখা গেছে পুনঃতফসিল করা ঋণও আবার খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এখন নন পারফরমেন্স লোন ৫৯ শতাংশে এসেছে। পূর্বে যা ছিল ৬৭ শতাংশ। এ অবস্থায় আমাদের মূলধন সহায়তা প্রয়োজন। তা পেলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আলম। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।