বিএনপির জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এ অকার্যকর সরকার দেশের সাধারণ জনগণকে পদে পদে মৃত্যুর ফাঁদে ঠেলে দিয়েছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। তাতে অংশ নিয়ে মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়ে বর্তমান সরকার দেশে বর্বর, বন্য শাসন জারি রেখেছে। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারসহ ন্যূনতম নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। মনে হচ্ছে আমরা এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার স্বেচ্ছাচারী জনপদে বসবাস করছি। যেখানে কারো কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নেই, গুম কিংবা বিনা বিচারে হত্যা নিত্যদিনের ঘটনা।

রিজভী আরো বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, অথচ সরকার প্রধান দেশের বাইরে। মানুষ বলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের নামে সরকারের মন্ত্রী ও মেয়ররা জনগণের সঙ্গে নিষ্ঠুর তামাশা শুরু করেছেন। তামাশা বন্ধ করুন, জনগণকে নিয়ে পরিহাস বন্ধ করুন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই সরকার অমানুষের মতো আচরণ করছে। তাঁর পছন্দমতো চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭৪ বছর বয়সী ও শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ একজন নারী, আইনের গতিতেই মামলায় যাঁর স্বাভাবিক জামিন পাওয়ার কথা, কিন্তু সরকার তাঁর জামিনে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। তাঁর জামিনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা করা হয়। বিচার বিভাগও সরকারের হুকুম তামিলে ব্যস্ত। এহেন কোনো কাজ নেই যে, এই সরকার তাঁর মামলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে না। এমন হিংস্র আচরণের উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল।

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, সরকারের এসব কর্মকান্ডে জনগণের কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রেখে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছেন। আমি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আবারও জোর দাবি করছি।

মিছিলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।