চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। ১০ মিনিট না চলতেই থেমে যায় ১২টি বগি, তবে থামেনি ট্রেনের ইঞ্জিন। প্রায় তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর চালক বুঝতে পারেন, ইঞ্জিনের পেছনে কোনো বগি নেই। পরে আবার ইঞ্জিনটি ফিরিয়ে এনে বগির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। তবে এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই রক্ষা পান যাত্রীরা। আজ রোববার সকালে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ‌‌পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে পার্বতীপুর রেলস্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১০ মিনিট পর ৮টা ৫০ মিনিটে ইষমারী নবিপুর স্কুলসংলগ্ন রেল পিলার অতিক্রম করার সময় ট্রেন থেকে ইঞ্জিনটি হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আলাদা হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে চিরিরবন্দর স্টেশনে গিয়ে থামে। পরে ইঞ্জিনটিকে ফিরিয়ে এনে বগির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে ৯টা ১৫ মিনিটে আবার ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ট্রেনটির গার্ড রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসার পর ট্রেনটি মন্মথপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করে। চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর আগে উপজেলার মহিষমারী ইউনিয়নের নবীনগর স্কুলসংলগ্ন এলাকায় ৩৯০/০ রেল পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইঞ্জিন থেকে ট্রেনের ১২টি কোচের সব কটিই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্রেনে এসি বার্থ, এসি চেয়ার, শোভন চেয়ারসহ সব কটি কোচের সাড়ে চার শতাধিক যাত্রী ছিলেন।’

রাকিবুজ্জামান আরও বলেন, ‌‘গাড়ি ও ইঞ্জিন হাইড্রোলিক হওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরপরই বগিগুলো দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা।’ ইঞ্জিনের সহকারী চালক আবু তারেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘চিরিরবন্দর স্টেশনের তিন কিলোমিটার দূরে ট্রেন থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় গাড়ির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার।’

এ বিষয়ে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. শফিকুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‌‘এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’