সংবাদপত্র কর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ( নোয়াব) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বেগম।

পরে আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, আদালত নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে রুলও জারি করেছেন। এ কারণে এ সময়ে ওই গেজেট প্রকাশ করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিবাদীরা হচ্ছেন ওয়েজ বোর্ড-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব ও নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক।ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

ওইসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশের পাশাপাশি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদের সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়।এর আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়।

ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে থাকে। ২০১২ সালে সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছিলো। পরের বছর এই বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করেছিলো।