ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার পর আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের জরুরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যৌথ এ অধিবেশনে ভারত সরকারের পদক্ষেপের মুখে পাকিস্তানের ভবিষ্যত করণীয় কী, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

পাকিস্থানের সংবাদমাধ্যম ডন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজকের অধিবেশনে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ বা পিটিআই দলের সদস্যদের পাশাপাশি নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ও বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপিসহ অন্য দলগুলো অংশ নেয়।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অধিবেশনে অংশ নিয়ে বলেন, তার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিল এবং এ জন্য ভারতকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা আলোচনার প্রস্তাবকে দুর্বলতা হিসেবে নিয়েছে।

ইমরান খান বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, পুলওয়ামার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং পাকিস্তানকে দোষারোপ করবে দিল্লি। এরপর তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে এবং পাকিস্তান তার জবাব দেবে। ভারত যুদ্ধ ঘোষণা করলে পাকিস্তানও একই ব্যবস্থা নেবে এবং শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পাকিস্তান লড়াই করবে। তবে এভাবে সমস্যার সমাধান হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। কাশ্মির ইস্যুকে গুরুত্বসহকারে নেওয়ার জন্য ইমরান খান আন্তর্জাতিক সম্প্রদয়ের প্রতি আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সেনাদের নির্যাতন ও কাশ্মিরি জনগণের দুর্ভোগের কথা তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে অবহিত করবেন।

যৌথ অধিবেশনে মুসলিম লীগ নেতা শাহবাজ শরীফসহ অনেকেই কাশ্মির ইস্যুতে সরকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। এমন সিদ্ধান্ত নিলে বিরোধীদলগুলো সরকারকে সমর্থন দেবে বলে শাহবাজ শরীফ উল্লেখ করেন।

গতকাল সোমবার ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং রাজ্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত দুই সপ্তাহে এই উপত্যকা অঞ্চলে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা প্রবেশ করেছেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা। জায়গায় জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ।