রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি (নিউক্লিয়ার ফুয়েল) সরবরাহে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান টিভিইএল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সই হয়েছে।

সোমবার (৬আগস্ট)রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ চুক্তি সই হয়।চুক্তির আওয়াতায় প্রতিষ্ঠানটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সারাজীবন জ্বালানি সরবরাহ করবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ও টিভিইএলর পক্ষে কমার্শিয়াল ডিরেক্টর ফেদর শকোলভ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,এদিন ফুয়েল সরবারাহসহ প্রাইজ ক্যালকুলেশন মেথডোলজি নির্ধারণের চুক্তিও সই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বিষয়ে স্বাক্ষরিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি অনুযায়ী এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিউক্লিয়ার সরবরাহকারী দেশ রাশিয়ান ফেডারেশন কর্তৃক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার লাইফ টাইম নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এ প্রকল্পের লাইফ টাইম ফুয়েল সাপ্লাইয়ের চুক্তি সই হয়েছে৷পুরো যন্ত্রপাতি তাদের৷তাই তাদের কাছ থেকেই ফুয়েল নিচ্ছি। সারা পৃথিবী যেভাবে চুক্তি করে এখানেও সেভাবে হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ফুকুশিমার মত কোনো ঘটনা হলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সেখানে সুনামিতে গ্যাস ফেটে বের হয়ে গেছিল, এখানে সে সুযোগ নেই।

মন্ত্রী আরও বলেন, এ প্রকল্প মানুষের উপকারের জন্য, তাই হবে। দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতি হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে তেমন কোনো নেতিবাচক খবর পরিবেশন না করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

চুক্তিসই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি মাইলস্টোন প্রকল্প। এটি আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। এটি শুধু বিদ্যুৎপ্রকল্প নয়, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার মাইলফলক। ২০২৩ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ও ২০২৪ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বলেন,ফুয়েল আমদানির ক্ষেত্রে আমরা মেথডলজি নির্ধারণ করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের লাইফ টাইম চুক্তি হয়েছে। দুটি ইউনিটে যে ফুয়েল লাগবে তারা তা পাঠাবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এ চুক্তিটি ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ান পক্ষের মধ্যে বিস্তর দরকাষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। এটি একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি।