বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গাজীপুরে এক অসহায় পঙ্গু ব্যক্তিকে টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন যুবলীগ নেতা। বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ দিলারটেক এলাকার শারিরীক প্রতিবন্ধি বাবুল মিয়াকে (৪৫) ঘরটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। প্রায় সোয়া লাখ টাকা ব্যয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বয়ক মো. সাইফুল ইসলামের গোল্ডেন ড্রিম এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ঘরটি নির্মাণ করা হয়।

গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বয়ক মো.সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ঘর হন্তান্তরের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাসার উদ্দিন। এসময় অন্যদের মধ্যে টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, ৩৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহীনুল আলম মৃধা, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শিরিন আক্তার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি মো. নাসার উদ্দিন ফিতা কেটে ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রতিবন্ধি বাবুলের হাতে চাবি তুলে দিয়ে ঘরটি বুঝিয়ে দেন।

সাইফুল ইসলাম জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (১৭মার্চ, ২০২০) উপলক্ষে তাদের গোল্ডেন ড্রিমস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা, এতিম ও সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে ১০০টি ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বুধবার ৬৩তম ঘরটি বাবুল মিয়াকে হস্তান্তর করা হল। ঘরটিতে বিদ্যুৎ সংযোগসহ সিলিং ফ্যান ও বাল্ব সরবরাহ করা হয়েছে। ২০১৫সাল থেকে যুবলীগের কতিপয় কর্মী নিয়ে গোল্ডেন ড্রিম এসোসিয়েশনটি গড়ে তোলা হয়। আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে এই ঘর নির্মান প্রকল্প ছাড়াও বৃক্ষরোপন ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচিালিত হচ্ছে।

নতুন ঘর পেয়ে প্রতিবন্ধি বাবুল বলেন, এক সময় তিনি রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন। মা-বাবা-স্ত্রীকে নিয়ে একটি মাটির ঘরে ও বারান্দায় তারা দিনযাপন করছিলেন। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ১৯৯৮সালে কুমিল্লায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় বাবুল তার বাম পা হারান। এর কিছুদিন পরে বাবাও হঠাৎ মারা যান। শারিরীক অক্ষমতার কারণে কোন কাজ করতে না পারায় বৃদ্ধ মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে পরিবারের সদস্যদের আহার যোগাতেন। এমতাবস্থায় চলতি বর্ষা মৌসুমে আমাদের মাথা গোঁজার একমাত্র মাটির ঘরটির একাংশ ধসে পড়ে যায়। পরে পলিথিন ও লতা-পাতা দিয়ে ঢেকে ওই ঘরটি মেরামত করে তাতে মানবেতর দিনযাপন করছিলাম। এ ঘরটি পেয়ে আমরা নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি। বাংলাদেশে এমন ধরণের কর্মী তৈরি হলে এ দেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।