মশা নিধনে যদি সত্যিকারের কার্যকরী ওষুধ আনা হতো তা হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেত না। মানুষ বাঁচাতে সরকারের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। তারা যেটি করছেন সেটি হলো লোক দেখানো মশা নিধনের নামে ক্যামেরা শুটিং বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।দুর্নীতির জন্যই আওয়ামী লীগ সরকার ডেঙ্গু মোকাবেলায় অক্ষম হচ্ছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কোনো সক্ষমতা নেই এ সরকারের। উন্নয়নের নামে পকেট ভারী করার জন্যই আজকে ডেঙ্গুর মতো এ দুর্যোগ মোকাবেলায় অক্ষম সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নত হচ্ছে বলেই ডেঙ্গু হচ্ছে, যে দেশ যতবেশি উন্নত, সে দেশে ততবেশি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেঙ্গু এলিট শ্রেণির মশা।

মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, উনার বক্তব্যকে টক অব দ্য সেঞ্চুরি বলব, নাকি শক অব দ্য সেঞ্চুরি বলব- এ নিয়ে দ্বিধায় আছি।মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী মন্ত্রিসভায় এডিস মশা বিস্তারের মতো গবুচন্দ্রের মন্ত্রীদেরও বিস্তার ঘটেছে। দেশব্যাপী যেমন এডিস মশার বিস্তারে কোনো বিরতি দেখা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি নবকলবরে গবুচন্দ্র মন্ত্রীদেরও হাসি-তামাশা উদ্রেককারী কথাবার্তারও কমতি দেখা যাচ্ছে না।

রিজভী আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী কোন ব্যুরো থেকে উল্লিখিত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করেছেন তা জানালে দেশবাসীর উপকার হতো। দেশ উন্নত হলে যদি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তা হলে লন্ডন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, কোপেনহেগেন ইত্যাদি উন্নত দেশের শহরগুলোতে ডেঙ্গুতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাত।

এহেন মন্ত্রীদের উদ্ভট বোলচালে জনজীবন ডেঙ্গুর মতোই বিপর্যস্ত। তবে মন্ত্রী বোধহয় আসল কথাটি বলতে চেয়েছেন একটু অন্যভাবে যে, উন্নয়নের নামে দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা পকেটস্থ হলেই ডেঙ্গুর মতো প্রাণবিনাশী বালামুসিবত দেশে বিস্তার লাভ করে। রিজভী বলেন, যেদিন রিপোর্ট দেয়ার কথা বলা হয়, সেদিন ডেঙ্গু রোগীরা রিপোর্ট পান না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট নিয়ে প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পরিবারগুলোকে। আবার হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন অসংখ্য শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে কাতরাচ্ছে শিশুরা।