এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যখন থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে তখন থেকেই বাসায় বাসায় এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নত করণ এবং ধ্বংসের কার্যক্রম শুরু করে। সেই হিসেবে গত ১ জুলাই হতে এপর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৬২টি বাসা পরিদর্শন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৯৬০টি বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

শনিবার (১০ আগস্ট)দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে পৌরকরদাতাদের মাঝে অ্যারোসল স্প্রে বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার। মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করতে পেরে গত ১ জুলাই থেকে বাসায় বাসায় পরিদর্শনে টিম পাঠাই। এরপর স্কাউটের সহায়তা নেওয়া হয়। এপর্যন্ত ডিএসসিসির টিম ২৫ হাজার ৯৯৭টি বাসা পরিদর্শন করে ৮২৩টি বাসায় লার্ভা পায়, সেখানে তারা ধ্বংস করে দিয়ে আসে। এছাড়া স্কাউটের সহায়তায় মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৭৬৫টি বাসা পরিদর্শন করা হয়। সেখানে ৬২ হাজার ২৩৭টি বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং তা ধ্বংস করে পরিষ্কার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা কর্মপদ্ধতি ঠিক করেছি এডিস মশার উৎসস্থলেই নির্মূল করতে হবে। আমরা রিহ্যাবের সহযোগিতা চেয়েছিলাম নির্মাণাধীন ভবন পরিষ্কার রাখার জন্য। সেভাবে সহায়তা না পেয়ে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। সেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫৯০টি বাসায় জরিমানা করা হয়েছে।মেয়র বলেন, আমরা যেভাবে কাজ করছি, আল্লাহর রহমতে সেপ্টম্বরের প্রথম সপ্তহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।এজন্য তিনি দেশবাসীকে বিশেষ দোআ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নগরবাসী আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। জনসচেতনতা গণজাগরণে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। নগরবাসী ফলাফল দেখতে পাবেন। আমাদের নতুন ওষুধ স্প্রে করা শুরু হয়েছে। এরপর যদি দেখেন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে তাহলে বুঝবেন আমরা সঠিক পথে আছি। আর যদি না কমে তাহলে আমরা অন্য পন্থা অবলম্বন করব। তবে আশাকরি কমে আসবে। আর এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সারা বছরই অব্যহত থাকবে। যত দিন যাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে।ঈদে যারা বাড়ি যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, সম্ভব হলে আপনারা বাড়িতে একজন আত্মীয় স্বজন রেখে যাবেন, না হয় কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। যিনি বাসাটি পরিষ্কার রাখতে পারবেন। আর যদি একান্তই সম্ভব না হয় তাহলে আপনার বাসার ফুলের টব, বালতি, এসির পাত্রসহ সব পানি ফেলে পরিষ্কার করে যাবেন।

নগরবাসীকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের জন্য ব্লিচিং পাউডার, পলিব্যাগ সরবরাহ করা হচ্ছে। সবাই নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করে বর্জ্য সিটি করপোরেশনের কন্টিনারে রেখে যান আমরা পরিষ্কার করে দেব।