যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। রবিবার সৌদি আরবের রিয়াদ, মক্কা, মদীনা, জেদ্দা, দাম্মামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

সূর্য উঠার আগেই বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে রওনা হন মসজিদের দিকে। সূর্যোদয়ের কিছু সময় পরেই রাজধানী রিয়াদে ঈদের প্রধান জামাত ধীরা জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ডক্টর আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ আল শায়খ। নামাজ শেষে ঈদের খুৎবায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

সৌদি আরবে সবচেয়ে বড় ঈদের জামায়াত মক্কা মসজিদুল হারামে সকাল সাড়ে ছ’টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের পর খুৎবায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। নামাজ শেষ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষেরা কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তারা পশু কোরবানি কাজ শুরু করেন।

এদিকে পশু কোরবানীতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন হাজীরা। সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে জামারা আকাবা’তে (বড় জামারা/ বড় প্রতিকী শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করে পশু কোরবানী করছেন তারা।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহা। রবিবার সকাল ৫:২০ মিনিটে ৪৫৫টি ঈদগাহ ও মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন ধর্ম প্রাণ মুসলিরা।

এবার সবচেয়ে বড় জামাত কাতারের জাতীয় মসজিদ, বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা দোহার ন্যাশনাল, নাজমা,স্টেডিয়াম মাঠ, মাইজার, ওয়াকরা, আলখুরসহ বিভিন্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মুসলিম উম্মাহের সুখ শান্তি কামনা করে দোয়া শেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন প্রবাসীরা। অন্যদিকে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ঈদের শুভেচ্ছা জানান কাতার প্রবাসীদের।

প্রতিবারের মতো এবারও মহিলাদের জন্য ৬৭টি মসজিদে আলাদা ঈদের জামাতের অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন বিপণি বিতান ও বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান কাতার প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এ সময় একে ওপরের সঙ্গে মেতে ওঠেন ঈদ আনন্দে। কাতারের ভিলাজিও মল, কর্নিশ, সিটিসেন্টার, মেট্রোরেল, অ্যাকুয়া পার্কসহ আয়োজিত ঈদ উৎসবে মেতে উঠেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদ উপলক্ষে শপিং মল ও মার্কেট গুলোর পাশাপাশি বড় বড় বিল্ডিং ও রাস্তার পাশে বর্ণিল সাজে সজ্জিত ছিল।