২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই মেয়র। আজ সোমবার কোরবানির পর থেকেই পরিচ্ছন্নকর্মীরা বর্জ্য অপসারণ শুরু করবেন বলে তারা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

সকাল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হলেও দুপুর ২টার পর থেকে থেকে পুরোদমে চলছে। ঢাকার দুই সিটি মিলে কাজ করছেন ১৪ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ওয়ার্ডগুলোকে বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বিভক্ত করে চলছে এ বর্জ্য অপসারণের কাজ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন, ‘ঈদের দিন সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’

অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ঈদের দিন থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হবে। এ ছাড়া কোরবানির পশুর হাটসমূহ দ্রুত পরিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যে নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি ও ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং থেকে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত করা হয়েছে।’

দুই সিটি করপোরেশন থেকে একযোগে বর্জ্য অপসারণ কঠিন কাজ। তবে ২৪ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন দুই মেয়র।

এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর ধোলায় পড়ে অবস্থিত সাদেক হোসেন খোকা মাঠের বর্জ্য অপসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কোরবানির জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও কিছু স্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। তবে নগরবাসীর অনেকেই এসব স্থানে কোরবানি দেননি। তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাসাবাড়ি বা ফুটপাতে কোরবানি করেছেন। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব বর্জ্য অপসারণ করে আমরা পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুরান ঢাকায় ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও কোরবানি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। আমরা যে দিনের বর্জ্য সেদিন অপসারণ করবো।’

এর আগে দুপুর ২টায় রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম পাশে বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘অনেক ওয়ার্ডে আজ সন্ধ্যার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০ টন বর্জ্য আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে নেওয়া হয়েছে।’ কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের পর হাটের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেও জানান মেয়র।

আতিকুল আরও বলেন, ‘হাটের বর্জ্য থেকে যেন মশার বংশবিস্তার না হয় সেজন্য বিশেষ সর্তকতা নেওয়া হচ্ছে। পশুর হাটের ইজারাদাররা হাটের বাঁশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে এখন থেকে জরিমানা করা হবে। তাদের জামানতের টাকা থেকে এসব পরিষ্কার করা হবে।’