দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ হংকং এয়ারপোর্ট, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে সরকারবিরোধীরা অবস্থান নিয়েছে গত শুক্রবার। প্রথম কদিন বিমানবন্দরের কার‌্যক্রমে কোনো প্রভাব না পড়লেও সোমবার অচল হয়ে যায় বিমানবন্দর। বহির্গামী সকল ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। আজও সেই অচলাবস্থা বজায় রয়েছে। বিমানবন্দরে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা আরো বেড়েছে।

সোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা যাত্রীরা অনেক কষ্টে বের হয়ে আসছেন। বিক্ষোভকারীরা যতোই তৎপর হয়ে উঠেছে,ততোই মারমুখী হয়েছে পুলিশ। এয়ারপোর্টের বাইরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে কয়েক দফা। রায়ট পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মরিচের গুঁড়া স্প্রে করে।

ছদ্মবেশী পুলিশ সন্দেহে এক ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায় তরুণ বিক্ষোভকারীরা। তাকে মারধোর করে হাত বেঁধে রাখা হয়। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখেও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং পরে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে চায়না গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদক জানান, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি তার পত্রিকার একজন রিপোর্টার, যিনি বিমানবন্দরে খবর সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন। হংকং-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি ল্যাম আবারও সতর্ক করেছেন বিক্ষোভকারীদের। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা পরিস্থিতিকে বিপদজনক দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদের নামে সহিংসতা পরিস্থিতিকে এমন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখান থেকে আর ফিরে আসার পথ থাকবে না।

উল্লেখ্য, হংকং-প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রতিবাদে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধীরা হংকং-এ বিক্ষোভ করছে।